হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন আমাকে মিরাজে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আমাকে তামার নখবিশিষ্ট একদল লোকের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তারা তাদের নখগুলো দিয়ে নিজের মুখ ও বুকে আঘাত করে ছিঁড়ে ক্ষতবিক্ষত করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল! এরা কারা? জিবরাইল (আ.) বললেন, এরা দুনিয়াতে মানুষের গোশত খেতেন এবং তাদের মানসম্মান নষ্ট করতেন। অর্থাৎ তারা মানুষের গিবত ও চোগলখোরি করতেন।” (আবু দাউদ)।
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘‘তোমাদের কেউ যেনো কারো পেছনে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভায়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো তা ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সূরা হুযুরাত : আয়াত ১২)।
আপনি হয়তো ভাবছেন খাওয়ার সাথে গীবত করা সম্পর্ক কি?
সম্পর্ক আছে। আছে বলেই আল্লাহ মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার উদাহরণ ব্যবহার করেছেন।
বাংলাদেশে শহর কিংবা গ্রাম সব বাড়িতেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক টেবিলে খাবার খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। আমরা সবচেয়ে থেকে বেশি গীবত কখন করি? খাবার টেবিলে।
কোথাও এমন হচ্ছে না তো যে-আমাদের খাবারে আল্লাহর রহমত ও বরকত নষ্ট হচ্ছে এবং সাথে মৃত ভাইয়ের পঁচা গোশত যুক্ত করে প্রতিবেলা খাচ্ছি। আর শরীরে হাজারটা রোগ বাধিয়ে বলছি, আল্লাহ তুমি আমাকে এতো রোগ-ব্যাধি দিচ্ছো কেন?
এসব খাবার খেলে কি আপনি সুস্থ থাকবেন? এখনো যে বেঁচে আছেন এইতো বেশি।
অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আপনি কেমিক্যালযুক্ত খাবার কিনছেন, এরপর সেটা তেল, মসলা দিয়ে এমনভাবে রসিয়ে-কষিয়ে রান্না করা হচ্ছে যে এর পুষ্টিগুণ ৭৫ শতাংশ সেখানেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সব আপনি বন্ধ করতে পারেন না। তবে আপনার হাতে রয়েছে খাওয়ার সময় গীবত না করার সক্ষমতা। অন্তত এই কাজটুকু করলেও আপনার খাবার হবে বরকতময়। আর মনে রাখবেন,
‘খাওয়ায় হলে সচেতন,
চাঙ্গা থাকে দেহ, মন।’
করোনা মহামারির সময় আপনি হাত ধোয়া শিখেছেন এবার শিখবেন মাইন্ডফুলি খাওয়া। এতে লজ্জার কিছু নেই। জ্ঞান সবসময়ই সম্মানের। এজন্য আমরা পরীক্ষায় পাশ করলে মিষ্টি খাই।
‘মাইন্ডফুল ডায়েট’-কোর্সের প্রমাণিত উপকার- হজমশক্তির উন্নতি ঘটাবে, ওজন, ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধি করবে। আপনি পাবেন সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু।
আত্ম-উন্নয়নের জন্য দরকারি সব কোর্স নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। তাই দেরি না করে এখনই জয়েন করুন সুখের স্কুলে।